Skip to main content

ওরে আমার সাধের বীণা,
ওরে আমার সাধের গান,
(তোর ওই) কোমল সুরে ব্যথা ঝরে,
আকুল করে আমার প্রাণ!
(ও তোর) শত তানে একই কথা,
শত লয়ে একই ব্যথা, —
(শুধু) নিরাশার কাতরতা,
হতাশার অপমান।

(কোরাস) –
পার যদি জাগো বীণা,
ধরো আরও উচ্চতান,
গাইব আমি নূতন গানে –
নূতন প্রাণে কম্পমান।

(যখন) বীণার সুরে গলা সেধে,
গাইতে যাই রে ফেলি কেঁদে,
(শুধু) মিশে যায় সে মনের খেদে –
আঁখির জলে অবসান;
(কোথায়) আনন্দেতে উঠব নেচে,
মরা মানুষ উঠবে বেঁচে,
(আমি) পাই না সুধাসাগর ছেঁচে –
ভাগ্যে শুধুই বিষপান!

(কোরাস) –
পার যদি জাগো বীণা,
ধরো আরও উচ্চতান,
গাইব আমি নূতন গানে –
নূতন প্রাণে কম্পমান।


(বীণা) পার যদি জাগো তবে,
বেজে ওঠো উচ্চরবে,
(আজ) নূতন সুরে গাইতে হবে,
আমি সঙ্গে ধরি তান;
(ছেড়ে) লোকলজ্জা, সমাজ-ভয়,—
যাতে, সবাই আবার মানুষ হয়,
(এমনি) গাইতে পারি দয়াময় –
কর এই বরদান।

(কোরাস) –
পার যদি জাগো বীণা,
ধরো আরও উচ্চতান,
গাইব আমি নূতন গানে –
নূতন প্রাণে কম্পমান।

[দ্বিজেন্দ্রগীতি, দেশাত্মবোধক গান]

Rate this poem
No votes yet
Reviews
No reviews yet.