Skip to main content
Author

কলাভবনের উজ্জ্বল করিডোরে অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়।
কারো কারো ছায়া কলাভবন ছাড়িয়ে আমতলায় মিলিয়ে যায়।
কারো কারো মাথা ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ কতে চায়।
কারো কারো অঙ্গুলি হেলনে ক্যাম্পসে বৃষ্টিপাত হয়, লতিয়ে ওঠে ধোঁয়া।
অনেকের সঙ্গেই আমার ভাব।

আমার একবন্ধু তো বাংলাফাইভ টানতেটানতে বাংলাসিনেমার নায়ক হয়ে গেছে।
একবন্ধু নায়িকার হাত ধরে জনকণ্ঠ থেকে কানাডায়।
এক বন্ধু আনন্দলোকের স্টারসার্চ
প্রতিযোগিতায় টিকে এখন ক্যামেরার সামনের দাঁড়ানোর জন্য মেকাপ নিচ্ছে।
এক বন্ধু যে কোনো দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে
আর গলির চেহারা দেখে গাঁজার দোকান খুঁজে বের করে নিচ্ছে।
এতসব খবর জানি, কিন্তু আমার পাশে বেঞ্চে বসে থাকা মেয়েটা যে ভেতরে
ভেতরে কবি হয়ে বসে আছে, তার চোখ দেখেও এতদিন তা টের পাইনি।

আজকাল মিডিয়াঅলারা সবকিছু চিনিয়ে দেয়ার ঠিকাদারি পেয়েছে।
তাই মিহি করে মাটি পিষে বালির সঙ্গে মিশিয়ে বিদেশি সিমেন্ট বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মিডিয়ার হাতে গোঁফ উঁচিয়ে ধরার আগে আমরা বিড়ালকেও চিনে নিতে পারছি না।
তো এ-রকম অবস্থায় আমরা ভুলেই যাচ্ছি যে,
কবিতা নেপালের গোয়ালঘরে থেকেও উঁকি মারে।

কিংবা উড়িষ্যার নদীর জল থেকে উঠে আসে।

কবিতা হারায় না।
কবিতা ডোবে না।
কবিতা মিডিয়ার অবলম্বন নয়।
কবিতা নিজেই মিডিয়া।

Rate this poem
No votes yet
Reviews
No reviews yet.