Skip to main content

দোষ-নির্দোষের মাঝে আটক আমার জিগরি দোস্ত ফ্যাটুল চিঠিপাধ্যায়
ওর হাঙরহাসি মুখ ভেঙচে বাছুরের চামড়ায় বাঁধানো ভাগবতে
হাত রেখে শপথ করেছিল যে, ফাঁকা চেয়ারগুলোয় যে-অদৃশ্য লোকেরা
বসে থাকে তাদের বলবে : 'সময় ব্যাটাই বন্ধু সেজে ভয় দেখায়'

কাঠঠোকরার বাসার ফুটোয় ঝড়ের ঢভে চোখ রেখে বাঁশি বাজাচ্ছিল ফ্যাটুল
বেচারা বগলে ঘামের কাতুকুতু ছাড়া জীবনে আর কোনো আহ্লাদ ছিল না

ভালোবাসার লোকজন একে একে হাপিশ হবার পর নিয়তির তাড়া খেয়ে
ইতিহাসেই আছে উত্তোরণ জেনে বাদুররা যখন মাথা ঘিরে ঠাঠা হাসছে
নিজের কুকুরকানে শুনলো : 'সময়ের মতন মানহানিকর বজ্জাত কেউ নেই'
যে-লোকই পাশে শুয়ে শ্বাস নিয়েছে সে-ই দেখি অসৎবাজ বেরিয়েছে

গ্রন্থকীটের পরাগমাখা রূপোলি আঙুল বুলিয়ে ভেবেছে শব্দই স্রেফ সার্বভৌম
বাদবাকি লোকেরা কান্না ফুরোবার অপেক্ষায় শবখাটের বাহক
বেচারা জানত না অর্কিড শব্দটা গ্রিক অর্কিস মানে অণ্ডকোষ থেকে এসেচে
তাই জগত্টাকে চিরকাল দেখেছে ছড়ানো নারকোলের মরচেপড়া চোখ মেলে


আহমেদনগর
১১ অক্টোবর ১৯৯৭

Rate this poem
No votes yet
Reviews
No reviews yet.