Skip to main content
Author

ঠাকুরবাড়ির আঙিনায় জসীমের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়।
আমি তখন বুঝে উঠতে পারি নি
যে, তিনিই হয়ে ঊঠবেন রঙিলা নায়ের মাঝি।

জসীমের সঙ্গে আমার ফের দেখা হয় এক কবিগানের আসরে।
নড়াইলের কবিয়াল বিজয়
সরকার আসরে দাঁড়িয়ে সেদিন আপ্লুত হয়ে সুরে ছাড়লেন-
নকশীকাঁথার মাঠে রে, সাজুর ব্যথায়
আজো কাঁদে রূপাই মিয়ার বাঁশের বাঁশি।

সোজন বাদিয়ার ঘাট এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
প্রেমে পড়ে মানুষ ধর্ম ছাড়ছে শুনে
জসীমকে সেদিন বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
আমি নিজের চোখে সোজন ও দুলিকে হেঁটে যেতে
দেখেছি ধ্র"পদী সিনেমার নায়ক-নায়িকার মতো।
আর দেখি, ক্যামেরার পেছনে চোখ রাখছেন
স্বয়ং জসীম।

জসীমকে শেষবার দেখি বাংলা একাডেমীর সামনে।
দোতলায় টাঙানো তালিকায় তাঁর নাম নেই
শুনে মৃদু হাসলেন।
আমি দেখলাম জসীম ক্রমশ উঁচু হতেহতে একাডেমির সর্বোচ্চ সীমানা
ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
যেতেযেতে বলছেন, তুই দাঁড়া, আমি একমুঠো মটরশুটি নিয়ে আসছি।
কাঁচা শিম চিবুতেচিবুতে তোর সঙ্গে কথা বলবো।

আমি জানি, জসীমের সঙ্গে আমার আবার দেখা হবে।
হয়তো ধান ক্ষেতের আলে, নয়তো
মরানদীর বালুচরে।
জসীমের সঙ্গে আমাদের দেখা না-হয়ে উপায় নেই!


Rate this poem
No votes yet
Reviews
No reviews yet.